বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম বেড়েছে। রীতিমত অস্থিরতা বিরাজ করছে সবজির বাজারে।
একই সাথে, মুরগির দামও বেশ চড়া, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সবজি ক্রেতারা জানান, গেল কয়েক মাস যাবৎ সবজি নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে যে স্বস্তি ছিল, তা আর নেই। বাজারে এখন বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনো সবজির দাম একশো পেরিয়ে গেছে।
ক্রেতাদের দাবি, বাজারে প্রশাসনের কোন তদারকি নেই। সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ানো শুরু করেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, এখন পুরোপুরি গ্রীষ্মের মৌসুম চলছে। যে কারণে সবজির সরবরাহ কম।
অন্যদিকে, অনেক জায়গায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সবজির উৎপাদনেও কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। গেল সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে প্রায় প্রতিটি সবজির কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের সবজিই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। হাতে গোনা কয়েকটি সবজি ছাড়া বেশিরভাগ সবজির কেজি ৬০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে।
আজকের বাজারে ঢেঁড়স, বরবটি, বেগুন ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার উপরে। ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ ও কাঁকরোল। অন্যান্য সবজি কিনতে কেজি ৫০ টাকার বেশি গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এছাড়া, ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে, যা আগে ১৪০-১৪৫ টাকা কেনা পড়তো। এখন তা ১৫৫-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতাদের মতে, খামার থেকে বেশি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে এবং চাহিদাও বেশি, তাই দাম বেড়েছে।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে তাদের জন্য দৈনন্দিন বাজার করা কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে, সীমিত আয়ের মানুষের জন্য এই পরিস্থিতি আরও বেশি কষ্টের
বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৩২০-৩০ টাকায়।
অন্যদিকে, কোরবানির পর থেকে অস্থির চালের বাজার এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ এবং ১৪০-১৬০ কেজি দরে রসুন বিক্রি হচ্ছে এ সপ্তাহের বাজারে। অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের বাজার।
জেএন/পিআর