গাড়ির ব্যাপারে অমিতাভ বচ্চন যে বেশ শৌখীন, বিটাউনের সকলেরই সেকথা জানা। খান সাম্রাজ্যের কালেকশনেও চোখধাঁধানো সব বিলাসবহুল গাড়ির সম্ভার।
কিন্তু এত দামি দামি গাড়ি ব্যবহার করলেও দীর্ঘদিন রোড ট্যাক্স না দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই তারকার বিরুদ্ধে!
তবে মুম্বইতে নয়। কর্ণাটকে আইনি গেরোয় পড়েছেন আমির খান এবং বিগ বি। অভিযোগ, বহুদিন ধরেই নাকি তাঁরা কর ফাঁকি দিচ্ছেন। আর সেই বিষয়টিই পুলিশের কানে পৌঁছল ‘কেজিএফ’-এর হাত ধরে!
এযাবৎকাল পড়ে চক্ষু চড়কগাছ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বলিউডের দুই সুপারস্টারকে কিনা আইনি গেরোয় ফেলল দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রির ‘কেজিএফ’! ব্যাপারটা কী? আসলে শেক্সপিয়র বলেছিলেন, ‘নামে কী আসে যায়?’ কিন্তু এই নামের জন্যই এবার আইনি গেরোয় পড়তে হল অমিতাভ বচ্চন এবং আমির খানকে।
দুই অভিনেতার নামে রেজিস্টার করা রোলস রয়েস দীর্ঘদিন ধরেই কর ফাঁকি দিয়ে ‘বীরবিক্রমে’ চলছে কর্ণাটকের রাস্তায়। কীভাবে?
জানা যায়, বছরখানেক আগেই আমির এবং অমিতাভ বচ্চন তাঁদের রোলস রয়েস গাড়ি দুটি বিক্রি করে দিয়েছেন। হাতবদল হয়ে সেই গাড়িগুলির বর্তমান মালিক কর্ণাটকের দাপুটে নেতা তথা ব্যবসায়ী ইউসুফ শরিফ।
তিনিই আমির-অমিতাভের কাছ থেকে কেনা দুটি বিলাবহুল গাড়ি ব্যবহার করছেন দীর্ঘদিন ধরে। এবং রোড ট্যাক্সও দেন না।
শুধু তাই নয়, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গাড়িগুলি কিনলেও এখনও পর্যন্ত নিজের নামে রেজিস্টার করাননি ওই দাপুটে নেতা।
নিয়মমাফিক তাই আমির-অমিতাভের মুম্বইয়ের ঠিকানাই দেওয়া নথিপত্রে। যার জন্যে পুলিশি গেরোয় পড়তে হয়েছে ইউসুফকে। কিন্তু এর সঙ্গে ‘কেজিএফ’ কানেকশন কোথায়?
বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ইউসুফ শরিফ নামে ওই নেতা আসলে নিজস্ব এলাকায় ‘কেজিএফ বাবু’ নামেই পরিচিত।
কর্ণাটকের কোলার গোল্ড ফিল্ডস এলাকায় থাকেন। যে খনি কেজিএফ ছবিতে দেখানো হয়েছিল। আর তার পর থেকেই গোটা দেশের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সেখানে ইউসুফ রীতিমতো প্রভাবশালী। তবে কর ফাঁকি দেওয়ায় পুলিশি গেরোয় পড়ে এবার তাঁকে ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। সূত্র-সংবাদ প্রতিদিন