গাজায় অনাহারী মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে…

অনলাইন ডেস্ক

গত জুন মাস থেকে গড়ে ১১ মিনিট খোলা ছিল গাজার ত্রাণশিবির। এতটুকু সময়ের মধ্যেই খাবার সংগ্রহ করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই হুড়াহুড়ি পড়ে যায় ত্রাণশিবিরে। ঘটছে পদপিষ্টের মতো ঘটনা। আবার এর মধ্যেই চলছে গুলি।

- Advertisement -

সব মিলিয়ে গাজার ত্রাণশিবির হয়ে উঠেছে মৃত্যুফাঁদ। এর জেরে অনাহারে ও অপুষ্টিতে শিশুমৃত্যু লাগাতার বেড়েছে চলেছে। বিশ্বের শতাধিক ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, উপত্যকাটিতে অনাহারী মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।

- Advertisement -google news follower

জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, গত মে মাস থেকে এখনো পর্যন্ত গাজার ত্রাণশিবিরগুলোতে খাবার আনতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে হাজারের বেশি মানুষের। খাদ্যসংকট চরম সীমায় পৌঁছেছে। ২০ লাখের বেশি মানুষ খাদ্য ও জীবনধারণের ন্যূনতম রসদ পাচ্ছেন না। একমাত্র উপায় ত্রাণশিবির। সেখানেও ত্রাণের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষুধার্তদের গুলি করছে ইসরাইলি সেনা।

এই পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। মঙ্গলবার গাজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গাজা মৃত্যু এবং ধ্বংসের এমন এক স্তরে রয়েছে, যার তুলনা নেই।

- Advertisement -islamibank

গাজাজুড়ে ব্যাপক মাত্রায় অনাহার ছড়িয়ে পড়েছে বলে সতর্ক করেছে ১০০টিরও বেশি সাহায্য সংস্থা। তারা অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল গাজার ভেতরে খাদ্য বিতরণ করতে দিচ্ছে না।

সেভ দ্য চিলড্রেন এবং মেডেসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ের্সসহ (এমএসএফ) ১০০টিরও বেশি সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনিরা আশা ও হূদয়ভঙ্গের ফাঁদে পড়েছে। সহযোগিতা ও যুদ্ধবিরতির জন্য অপেক্ষা করে তারা দেখছে ভয়াবহ পরিস্থিতি।

ইসরাইল স্বীকার করেছে যে গাজায় সহায়তার পরিমাণ কমেছে। যদিও এর কর্মকর্তারা বলছেন, খাদ্য আছে, কিন্তু সংস্থাগুলো তা মানুষকে দিতে পারছে না।

সংস্থাগুলোর চিঠিতে বলা হয়েছে, দিনে মাত্র ২৮টির মতো ট্রাক এখন গাজায় যাচ্ছে। যদিও জাতিসংঘ দিনে কমপক্ষে ৬০০ ত্রাণবাহী লরি পাঠানোর কথা বলেছিল।

ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ বলছে, ত্রাণসহ ৯৫০টি ট্রাক এখন আছে এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর উচিত সেগুলো বিতরণ করা।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ