‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’এ প্রবাদটির সত্যতা আবারো প্রমাণ করল রাঙামাটি বরকলের প্রত্যন্ত ইউনিয়ন আইমাছড়ার ১০ গ্রামের মানুষ। সবাই মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করেছে প্রায় ১০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। এ রাস্তা নির্মাণে সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো সংস্থার সহযোগিতা নেয়নি তারা। পাড়াবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হয়েছে রাস্তাটি।
রাস্তাটি নির্মাণের ফলে গ্রামবাসী ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি গ্রামের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত সহজ হয়েছে। হাল্কা ও মাঝারি যানবাহন চলাচলে উপযোগী হয়েছে এ রাস্তা।
উপজেলার আইমাছড়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল তাদের একটি ভালো রাস্তা হবে। সেই রাস্তা দিয়ে গ্রামের মানুষ চলাচল ও তাদের উৎপাদিত কাঁচামাল সহজে বাজারজাত করতে পারবে। এজন্য এলাকার মানুষ রাস্তা-ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণের জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে দাবি জানিয়েছে অনেকবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
তাই কারো সাহায্যের আশায় না থেকে ১০ গ্রামের মানুষ নিজেরা একটি মাটি কাটা কমিটি করে। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন প্রতি পরিবার থেকে একজন করে এসে স্বেচ্ছাশ্রমে দুই মাসের মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তাটি চলাচল ও হালকা যান চলাচলের উপযোগী করে তোলে।
মাটি কাটা কমিটির সভাপতি কালাচাঁদ চাকমা জানান, স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এ রাস্তাটি প্রায় দৈর্ঘ্যে ১০ কিলোমিটার আর প্রস্থে ২০ থেকে ৩০ ফুট। রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন হলেও কিছু কিছু জায়গায় ব্রিজ-কালভার্ট না থাকায় চলাচল ও মালামাল বহনে সমস্যা একটু থেকেই যাবে।
তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মতিউর রহমান বলেন, এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি ঠিক করেছে, এটা প্রশংসার যোগ্য। এলাকাবাসীর এ উদ্যোগ অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে। তবে ব্রিজ-কালভার্টসহ অন্যান্য সহযোগিতা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অবশ্যই করবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।