সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে: মেয়র

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সবগুলো সেবা সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে এবং জনগণকে সচেতন আচরণ করতে হবে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

- Advertisement -

সোমবার চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভারীবর্ষন চলাকালে বিভিন্ন জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র।
চকবাজার, কাতালগঞ্জ, জিইসি, পাঁচলাইশ, ওয়াসা, বাকলিয়া ও লালখানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র। এসময় জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

- Advertisement -google news follower

পরিদর্শনকালে মেয়র স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ও ভোগান্তির কথা শোনেন এবং বলেন, “জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম নগরের দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই কাতালগঞ্জ রোডের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি অবিলম্বে ড্রেনেজ সিস্টেম সংস্কার করে পানি চলাচলের পথ উন্মুক্ত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু সাময়িক নয়, আমরা স্থায়ী সমাধানের দিকেই এগোচ্ছি। নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে চসিক সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পরিদর্শনকালে তিনি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং কার্যক্রম তদারকি করেন। পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বাটালি পাহাড়সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী তিনটি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। মেয়র জানান, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। একই সঙ্গে জনসাধারণকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

- Advertisement -islamibank

বিল্ডিং কোড না মেনে স্থাপনা নির্মাণ নগরীর জলাবদ্ধতা অন্যতম কারণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখেছি বেশ কিছু ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোডগুলো তারা মানেনি। এ বিষয়ে আমি সিডিএ’র সাথে কথা বলব এবং তাদেরকে বলব বিল্ডিং কোড না মেনে নালা দখল করে গড়া স্থাপনাগুলো ভাঙতে। ভেঙ্গে কমপ্লিটলি যাতে ময়লাগুলো ক্লিন করা যায়। এটা আমাদের করতে হবে। কারণ প্রাইমারি ড্রেনেজ সিস্টেম নালালাগুলো আমাদের ক্লিন রাখতে হবে। দ্যাট ইজ ভেরি ইম্পরট্যান্ট। কিছু এলাকায় পানি উঠছে তবে পানি আমি যতদূর দেখছি যে আগের মত যেভাবে সারাদিন পানি জমে থাকতো এটা থাকছে না। এটা দেড় দুই ঘন্টা বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর পরে পানিটা চলে যাচ্ছে। তারপরেও আমি চাচ্ছি যে এখানে যে সার্ভিস ড্রেনগুলো আছে সেগুলো আমরা ক্লিন রাখবো। আমি এটা সরজমিনে দেখেছি আজকে। আমার যে প্যানেল এক্সপার্ট আছে তারাও আসবে। এসে এই কাজটা আমরা দ্রুত শুরু করব।

এ সময় চসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ