গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হওয়া ফারিয়া তাসনিম ওরফে জ্যোতির (৩২) মরদেহ তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে টঙ্গীর শালিকচূড়া বিল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহীন আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর সেক্টরে বসবাস করতেন। তিনি ওষুধ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মনি ট্রেডিংয়ের সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত সোয়া ৯টায় হোসেন মার্কেট এলাকায় স্থানীয় ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ওষুধ বিপণনের কাজে এসেছিলেন সেলসম্যান তাসনিম জ্যোতি।
বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ায় হঠাৎ অসাবধানতাবশত হাসপাতালের সামনে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের এক ইউনিট রাত দেড়টা পর্যন্ত তাদের উদ্ধার অভিযান চালায়।
বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধার কাজ স্থগিত রেখে পরদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ফের উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসন।
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোসেন মার্কেট থেকে গাজীপুরা পর্যন্ত ড্রেনের ঢাকনা খুলে তল্লাশি চালায় ফায়ার সার্ভিস। এক পর্যায়ে গাজীপুরা এলাকায় বিল ও জলাশয়ে উদ্ধার অভিযান চালায় ডুবুরিরা।
পরে সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত রেখে চলে যায় ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার সকালে পুণরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হলে গাজীপুরা এলাকায় একটি বিলে কচুরিপানার নিচে তাসনিম জ্যোতির মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহীন আলম বলেন, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী ২০ সদস্যের দল ম্যানহোলের ভেতর নিখোঁজ ওই নারীর সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পরে মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ ওই নারীর মরদেহ বিল থেকে উদ্ধার করা হয়।
তদন্ত কমিটি গঠন
দুর্ঘটনার তদন্তে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিবকে প্রধান করে ৪ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন।
জেএন/পিআর