কদিন ধরেই চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারখ্যাত খাতুনগঞ্জে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও আদা। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে মানভেদে পেঁয়াজের দাম কেজি ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এ সপ্তাহে দাম বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। যা গেল সপ্তাহেও কেজি প্রতি দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা।
চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বড় আড়ত খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেটে গিয়ে সরেজমিনে বিভিন্ন পাইকারি দোকান ঘুরে এমন চিত্র ফুটে উঠে।
গত সপ্তাহে এ বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকায়। এ সপ্তাহে সেটি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠে কেজি প্রতি।
মার্কেটটির ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকের হাতে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত থাকলেও অধিকাংশ কৃষকই নানান অজুহাতে দাম ছাড়ছেন না।
এদিকে ‘আমদানি পেঁয়াজও এখন সরবরাহ কম। ফলে পেঁয়াজের দাম এখন দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করছে। গল সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে দামটা একটু বেশি।
পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে জানালেন চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান খালেদ। তিনি বলেন, এখন কৃষকেরা দাম পাচ্ছেন। যদিও ক্রেতাদের জন্য দাম বাড়তি। তবে আমদানির অনুমতি পেলে দাম কমে যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
পাইকারি বাজারের প্রভাব পড়েতে শুরু করেছে খুচরা বাজারেও। বৃহস্পতিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন মুদি দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহের বাজারে আদার দামও বেশ চড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে নিত্য এ মসলা পণ্যটির।
গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি দরে যে আদা বিক্রি হয়েছে এ সপ্তাহে দাম বেড়ে ১৮০ টাকার আশপাশে দাঁড়িয়েছে। আবার গত সপ্তাহে নিম্নমানের আদা যেখানে ১১০ টাকার আশপাশে ছিল। সেই আদাও এখন কেজি দেড়শ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে আদা এত দিন লোকসানে বিক্রি হয়েছে। এখন দাম কিছুটা বেড়েছে।
অন্যদিকে এ সপ্তাহের বাজারে ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির খবর হলো দাম পড়েছে রসুনের। আগের সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১২ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় রসুন বেশি আছে, তাই দাম কম।
জেএন/পিআর