কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় খুলে দেওয়া হবে। এতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নেমে আসবে, যা প্রবল স্রোত সৃষ্টি করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নাবিকদের জন্য জরুরি সতর্কতা জারি করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভাটার সময় স্রোতজনিত কারণে নোঙররত জাহাজ ও জলযানগুলোর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই তারা নিরাপদ অবস্থান গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাহাজের ইঞ্জিন দ্রুত চালু করার জন্য প্রস্তুত রাখা, পর্যাপ্ত সংখ্যক নাবিক সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য উপস্থিত থাকা, মুরিং রশি দ্বিগুণ করে বাঁধা এবং শৃঙ্খলিতভাবে নোঙর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ভিএইচএফ রেডিওযোগে বন্দরে অবহিত করতে হবে।
কাপ্তাই হ্রদের পানি উচ্চতা বর্তমানে ১০৭ মিটার সি লেভেল ছাড়িয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু থাকার কারণে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩২ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আগে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে জলকপাট খোলার পরিকল্পনা ছিল, তবে তা একদিন পিছিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খোলা হবে। পানির চাপ ও বৃষ্টিপাত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আরও বড় পরিসরে জলকপাট খুলে দেওয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ হ্রদ সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে।’
জেএন/এমআর