বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরে নিজেদের চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খুলনা টাইটান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফি বাহিনী। এই জয়ে নিজেদের আট ম্যাচের চারটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে মাশরাফির রংপুর।
এদিন মিরপুরে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তোলে খুলনা। জবাবে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর (১৮৩/৪)।
১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৭৮ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও অ্যালেক্স হেলস। তবে হেলসকে বোল্ড করে সেই জুটি ভেঙে দেন ইয়াসির শাহ। ফেরার আগে ২৯ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন হেলস। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে ঝড় তোলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তবে দলীয় ১২১ রানে তাকে এলবিতে ফেরান মাহমুদউল্লাহ। সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪১ রান করেন ভিলিয়ার্স।
এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে করে ব্যাটে ঝড় তোলেন গেইল। তবে দলীয় ১৭১ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইন্ডিজ এই হার্ড হিটার। ফেরার আগে ৪০ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৫ রান করেন তিনি। চলতি বিপিএলে এটিই গেইলের সর্বোচ্চ ইনিংস।
এরপর মিঠুনের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে আসেন রাইলি রুশো। তবে শেষ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৭৬ রানে ব্যক্তিগত ১৫ রান নিয়ে ফেরেন মিঠুন। এরপর নাহিদুলকে সঙ্গে করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রুশো।
খুলনার হয়ে ইয়াসির শাহ সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন। এছাড়াও মাহমুদউল্লাহ ও জুনায়েদ খান একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৯ রানেই দুই উইকেট হারায় খুলনা। ওপেনার আল আমিন ৪ ও জুনায়েদ সিদ্দিকী ফেরেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে। এরপর দলের হাল ধরেন ব্র্যান্ডল টেলর ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দলীয় ৭৮ রানে সেই উইকেটে হানা দেন ক্রিস গেইল। ২০ বলে চার বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩২ রানে ফেরেন টেলর।
এরপর শান্তকে সঙ্গে করে এগুতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তবে সেই জুটি ভেঙে দেন ফরহাদ রেজা। তার করা ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাজমুল ইসলাম অপুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আউট হয়ে ফেরার আগে ২০ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন তিনি। আর পরের বলেই শান্তকে ৪৮ রানে ফেরান রেজা। ৩৫ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রানের ইনিংসটি খেলেন খুলনার এই ব্যাটসম্যান।
এরপর আরিফুল ৬ রান করে আউট হলেও, শেষদিকে ১৫ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ডেভিড উইস। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির শাহ।
রংপুরের হয়ে চার ওভারে ৩২ রানে ৪টি উইকেট নেন ফরহাদ রেজা। এছাড়াও মাশরাফি ও ক্রিস গেইল একটি করে উইকেট নেন।