চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল সল্টগোলা মোড় থেকে নিমতলা মোড় পর্যন্ত রাস্তা, ড্রেন, স্ল্যাব ও ফুটপাতের পুনর্বাসন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মেয়র জানান, প্রায় ১৭৫০ মিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের অধীনে সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ফুটপাত উন্নয়ন করা হবে। মেয়র বলেন, ইনশাআল্লাহ, আমরা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে—অর্থাৎ এ বছরের মধ্যেই প্রকল্পটির কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। আমরা সবসময় চেষ্টা করছি চট্টগ্রামের উন্নয়নে গত ১৫-২০ বছর ধরে যে প্রতিবন্ধকতা ছিল, সেগুলো কাটিয়ে এগিয়ে যেতে।
“চট্টগ্রাম শহরে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার একটি বড় সমস্যা ছিল। আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে এই এলাকার সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। মহান রব্বুল আলামীনের অশেষ রহমত ও জনগণের সহযোগিতায় আমরা ইতোমধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করতে পেরেছি। বাকি ৪০-৫০ শতাংশও সমাধান করতে ইনশাআল্লাহ অতি দ্রুত কাজ শুরু করব এবং তা শেষ করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, এই বর্ষণের কারণে আমি দেখছি অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। আজকে আমি নিজে এসে সরেজমিনে সব দেখেছি। আমি ইতোমধ্যে সভা করে প্রকৌশল বিভাগকে এসব খানাখন্দ মেরামতের নির্দেশ দিয়েছি। বর্ষাকালের পরে যাতে রাস্তাগুলোর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার ও অন্যান্য কাজ শুরু করা যায়, সেই প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি। এতে করে এই এলাকার জনগণ যেন স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো। এছাড়াও আপনারা বলেছেন, বন্দরের একটি রাস্তা ‘ডেডিকেটেড লেন’ হিসেবে চিহ্নিত করা দরকার—এই বিষয়টিও আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিচ্ছি।
চসিকের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, ৩৮ নং ওয়ার্ডের সল্টগোলা মোড় থেকে নিমতলা মোড় পর্যন্ত রাস্তা, ড্রেন, স্ল্যাব এবং ফুটপাতের কাজের পুনর্বাসন কাজের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে স্থানীয় সরকার কোভিড-১৯ প্রকল্পের আওতায় যার অর্থায়ন করছে বিশ্ব ব্যাংক (World Bank)। প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫১ টাকা ৯৯ পয়সা। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, অর্থবছর ২০২৫-২০২৬ এর মধ্যে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ (অঞ্চল-০৬) এর তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, হানিফ সওদাগর, কামাল হোসেন প্রমুখ।
জেএন/এমআর