আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন কর্মী আহত হয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে চারজনকে।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে শাহ আমানত হলের সামনে ও সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এতে একপক্ষের নেতৃত্ব দেয় সিক্সটি নাইন গ্রুপ এবং অন্য পক্ষে গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় দুই গ্রুপই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে অবস্থান করছিল।
জানা যায়, সোমবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সিএফসি গ্রুপের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শোডাউন শেষে ওই গ্রুপের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা। ওই ঘটনার জেরেই মঙ্গলবার মুখোমুখি হয় শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ দু’টি।
এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে উভয় পক্ষই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সেখান থেকে আটক করা হয় চার জনকে। আটককৃতরা হলেন সিএফসি গ্রুপের কর্মী ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের সাজন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আসির উদ্দীন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শাকিল ও আরবী বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শাকিল।
সংঘর্ষের বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি জামান নুর বলেন, ছাত্রলীগের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অনুপ্রবেশকারীদের ইন্ধনেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। বড়রা মিলে মীমাংসা করব।
অন্যদিকে মারধরের ঘটনা স্বীকার করলেও সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও একই কমিটির আরেক সহসভাপতি মনসুর আলম। তিনি বলেন, গতকাল (সোমবার) ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমাদের কর্মীরা কয়েকজনকে মারধর করেছে। কিন্তু ওরা সিএফসির কর্মী ছিল না। অথচ তারা আজ (মঙ্গলবার) বিনা উস্কানীতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার ওসি বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন জয়নিউজকে বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। ক্যাম্পাসে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।