চকরিয়ায় অপহরণের একদিন পর মো. ওয়াসিয়া নামে আড়াই বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওয়াসিয়া চকরিয়া পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার সাহাবউদ্দিনের ছেলে।
এদিকে ওই শিশুকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে মুন্নী আক্তার নামে এক নারীকে আটক করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঐ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওয়াসিয়ার বাবা সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘সোমবার বিকাল ৪টার দিকে ওয়াসিয়া ও তার বড় বোন বাড়ির উঠানে খেলছিল। এসময় বোরকা পরিচিত এক মহিলা ওয়াসিয়ার হাতে একটি চিপসের প্যাকেট দিয়ে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজির পর স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি এক মহিলা ওয়াসিয়াকে নিয়ে গেছে। পরে চকরিয়া থানার ওসি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অপহরণের ঘটনাটি জানাই।’
তিনি দাবি করেন, ‘অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত মুন্নি আক্তারের সঙ্গে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ের কথাবার্তা হয়েছিল। মুন্নির সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় প্রতিশোধের অংশ হিসেবে আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে হত্যা করেছে সে।’
চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর মো. রেজাউল করিম জয়নিউজকে বলেন, সোমবার বিকেলে ওয়াসিয়া তার বোনের সঙ্গে খেলছিল। এসময় মুন্নি ওয়াসিয়াকে চিপসের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। মঙ্গলবার সকালে মাতামুহুরী ব্রিজের নিচে শিশুটির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর পাঠানো হয়। পরে চকরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিশু নিখোঁজের অভিযোগ পেয়ে আমরা সারা রাত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করি। মঙ্গলবার সকালে মাতামুহুরী নদীর ব্রিজের নিচে লাশ পাই। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া আটক মুন্নি আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।