চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চলমান গৃহকর নিয়ে দ্বন্দ্ব মেটাতে চান। এজন্য দুই সংস্থা যৌথ সমীক্ষা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাঁচ সদস্যের এই কমিটি সমীক্ষা চালিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রকৃত গৃহকর নির্ধারণ করবে।
কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার চসিকের দুজন প্রতিনিধি চেয়ে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
চসিক সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি হোল্ডিংয়ের (স্থাপনা) কর পুনর্মূল্যায়ন করে সিটি করপোরেশন। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের ২০৯টি স্থাপনার বিপরীতে গৃহকর দাঁড়ায় ১৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা; যা আগে ছিল ৪৫ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছর থেকে পুনর্মূল্যায়ন অনুযায়ী ১৬০ কোটি টাকা দাবি করে আসছিল সিটি করপোরেশন। কিন্তু তা দিতে নারাজ বন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা আগের ধার্যকৃত ৪৫ কোটি টাকা আদায় করে আসছিল।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখে চসিক। তাতে বন্দরের কাছ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৬০ কোটি টাকা গৃহকর পরিশোধের জন্য নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করা হয়।
এর মধ্যেই গত ১৬ এপ্রিল সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের হাতে শতকোটি টাকার চেক তুলে দেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। এটিকে মেয়রের অর্জন হিসেবে বেশ ফলাও করে প্রচার করেছিল চসিক।
কিন্তু গত ২৮ জুলাই বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্মূল্যায়ন বা যৌথ সমীক্ষার মাধ্যমে ধার্য করা পৌর করের (গৃহকর) সঙ্গে সমন্বয়ের শর্তে অগ্রিম শতকোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
অর্থাৎ সিটি করপোরেশনের ১৬০ কোটি টাকা দাবির ভিত্তিতে নয়, বরং আগের ৪৫ কোটি টাকা হারে গৃহকর চলতি অর্থবছরে সমন্বয়ের কথাও বলা হয় চিঠিতে।
পরে যৌথ সমীক্ষার মাধ্যমে নতুন করে গৃহকর নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জেএন/পিআর