রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পুনর্বহালের দাবিতে টানা প্রায় ১০ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার পর অবশেষে স্বাভাবিক হয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পরিস্থিতি।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা কোর্টবাজার চৌরাস্তার মোড়ে অনশন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলনকারীরা প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে এমনকি ফুটবল খেলেও ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ জানান।
দীর্ঘসময় অবরোধে কোর্টবাজার ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো যাত্রী। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ও আলোচনার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষকরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস এবং ব্র্যাক এনজিও কর্তৃক ১৫০টি লার্নিং সেন্টার চালুর সিদ্ধান্তের পর আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধি শামীম বলেন, আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন পুরোপুরি স্থগিত করিনি, কেবল সাময়িকভাবে সরে এসেছি। যদি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে বাধ্য হয়ে আবারও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে হবে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুদ্দিন শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানিয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়ার পর তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেছে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে।
তবে শিক্ষকরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি হাতে নেবেন। প্রয়োজনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধেরও ঘোষণা দেন তারা।
এদিকে অবরোধ প্রত্যাহারের পর কোর্টবাজার এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও শিক্ষকদের এ আন্দোলনকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে এখনো উদ্বেগ বিরাজ করছে।
জেএন/পিআর