কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে টমটম চালক নুরুল আবছার হত্যার ঘটনায় জড়িত তিন রোহিঙ্গাকে মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন—কুতুপালং এফসিএন-২৯৯০১৫, ব্লক-বি/৯, ক্যাম্প-২ ইস্ট-এর মৃত আলী আহমদের ছেলে শফি আলম (২৮)।
কুতুপালং এফসিএন-১০৭০০৫, ব্লক-বি/১০, ক্যাম্প-২ ইস্ট-এর হামিদ হোসেনের ছেলে ইমাম হোসেন (২০)। কুতুপালং এফসিএন-২৭৬৬৬৪, ব্লক-বি/১০, ক্যাম্প-২ ইস্ট-এর নুর আহমদের ছেলে আবুল হাশিম (৪৫)।
এ ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা নং-১১ দায়ের হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসরুরুল হক বলেন, “হত্যাকাণ্ডের পরপরই আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করি।
প্রযুক্তির সহায়তা ও মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।”
তিনি আরও জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়রা পুলিশের এ দ্রুত তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এক বাসিন্দা বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ যেভাবে মাঠে নেমে আসামিদের ধরেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ।”
অন্যদিকে নিহত নুরুল আবছারের পরিবার দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে। নিহতের বড় ভাই মো. শাহ আলম বলেন, “আমার ভাইকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা চাই এ খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।”
উল্লেখ্য, টমটম চালক নুরুল আবছারের হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জেএন/পিআর