তেজস্ক্রিয় ধ্বংসাবশেষ অপসারণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জাপানি প্রযুক্তিবিদরা ক্ষতিগ্রস্ত চুল্লি ভবনগুলোর একটিতে রিমোট-নিয়ন্ত্রিত রোবট পাঠিয়েছেন।
২০১১ সালের ভয়াবহ সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত এই কেন্দ্রে এখনো প্রায় ৮৮০ টন বিপজ্জনক পদার্থ রয়ে গেছে।
গলিত জ্বালানি ও তেজস্ক্রিয় ধ্বংসাবশেষ সরানোকে কেন্দ্রটি অকার্যকর করার দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্ল্যান্ট অপারেটর টেপকোর একজন মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, কম্পানিটি মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত চুল্লি ভবনগুলির একটিতে ‘স্পট’ এবং ‘প্যাকবট’ নামে দুটি রোবট পাঠিয়েছে।
যারা বিকিরণের মাত্রা পরিমাপ করবে। দুটিতেই বিকিরণ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস ‘ডসিমিটার’ রয়েছে। কুকুরের মতো দেখতে ‘স্পট’-এর সঙ্গে রয়েছে ক্যামেরাও।
টেপকো জানিয়েছে, এই সমীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পূর্ণমাত্রার জ্বালানি ও ধ্বংসাবশেষ সরানোর পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, জরিপ চলবে প্রায় এক মাস। তবে পূর্ণাঙ্গভাবে ধ্বংসাবশেষ সরানো এখনো শুরু হয়নি।
পরীক্ষামূলকভাবে বিশেষ যন্ত্র দিয়ে ইতিমধ্যে দুইবার অল্প পরিমাণ তেজস্ক্রিয় ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো গবেষণাগারে বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
টেপকো জুলাইয়ে ঘোষণা দেয়, ব্যাপক অপসারণ কার্যক্রম অন্তত ২০৩৭ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে। আগে পরিকল্পনা ছিল ২০৩০-এর দশকের প্রথম দিকে কাজ শুরু করার।
তবে গত মাসে টেপকো জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমা অর্জন এখনো সম্ভব, যদিও কাজটি হবে অত্যন্ত কঠিন। সূত্র : এএফপি