কেন ভেঙে দুই ভাগ হয়েছে সেতুটি, কী বলছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন?

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের শীতল ঝরনা খালের ওপর নির্মিত অর্ধশত বছরের পুরোনো সেতু ভেঙে যাওয়ার ৪টি কারণ চিহ্নিত করেছে তদন্ত কমিটি।

- Advertisement -

পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে চারটি সুপারিশও করেছে তারা। বুধবার তিন পৃষ্ঠার প্রতিবেদন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) জমা দেওয়া হয়।

- Advertisement -google news follower

চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সেতুটি প্রায় ৫০ বছর আগে ইটের ভিত্তি দেয়ালের ওপর নির্মিত হয়। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে খালের প্রস্থ ও গভীরতা বাড়ানো হলেও সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। এতে ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

- Advertisement -islamibank

দ্বিতীয়ত, সেতুর পূর্ব পাশের নালার পানি সরাসরি ফাউন্ডেশনে গিয়ে আঘাত হানায় কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তৃতীয়ত, শিল্প এলাকায় ভারী ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যানের চাপ বহন করতে না পেরে সেতুটি নষ্ট হতে থাকে। চতুর্থত, ওয়াসার দুটি বড় পাইপ স্থাপন ও আরসিসি বক্স নির্মাণের কারণেও সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ে।

ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে কমিটি চারটি সুপারিশ করেছে। এগুলো হলো— খালের প্রস্থ বাড়ানো অনুযায়ী পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরোধ দেয়াল ভেঙে পুনর্নির্মাণ, ভারী যান চলাচল অযোগ্য সেতুর তালিকা তৈরি করে নিরাপত্তা সাইনবোর্ড স্থাপন ও প্রয়োজনে ভারী যান নিষিদ্ধকরণ এবং সেবা সংস্থার পাইপলাইন বসানোর সময় সেতু বা কালভার্টের ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করা।

উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট ভারী বর্ষণের সময় ব্রিজটির এক পাশ ভেঙে যায়। বর্তমানে অন্য পাশ দিয়ে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করছে। দুর্ঘটনার পর চসিক প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ইতোমধ্যে ব্রিজটির নতুন নকশা ও বাজেট চূড়ান্ত হয়েছে। প্রায় ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ মিটার প্রস্থ ও ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ