বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে সংগীত ও শিল্পাঙ্গনে। তাঁর অকালে চলে যাওয়া সহকর্মীদের কেউ মেনে নিতে পারছেন না। শোকে স্তব্ধ সবাই। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে নানা পেশার মানুষ জড়ো হন। উপস্থিত হয়েছেন সংগীত ও চলচ্চিত্র অঙ্গনেরও লোকজনও।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানেও তার জানাজা হয়।
শুরুতে পুলিশের একটি দল ‘গার্ড অব অনার’ দেয় মুক্তিযোদ্ধা বুলবুলকে, এরপর রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সহকারী সামরিক সচিব ইফতেখারুল আলম। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদেন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চলচ্চিত্র ও সঙ্গীতাঙ্গনের অনেকে।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে আফতাবনগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল এক বছর ধরে নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ২০১৮ সালের জুনে তার হৃদযন্ত্রের ধমনীতে দুটি স্টেন্ট লাগানো হয়েছিল। ১৯৭১ সালে তিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।