দুবাইয়ে নিজ রুম থেকে মনির হোসেন (২৮) নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে নিহতের পরিবার খবর পায়। মনিরের সঙ্গে থাকা পাকিস্তানি ও ভারতীয় দুই শ্রমিকসহ তিনজন ঘটনার পর থেকে পলাতক।
পরিবারের অভিযোগ, তারা মনিরকে হত্যা করে ফ্যানে ঝুলিয়ে রেখেছে।
মনির সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামের মৃত আরজ আলীর ছেলে। তিনি দুবাইয়ের আল আবাদি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজে কাজ করতেন।
মনিরের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে ডিউটি শেষে রুমে গিয়ে রান্না করার সময় মনির পরিবারের সঙ্গে কয়েক মিনিট কথা বলেন।
পরে খাওয়া শেষে আবার ফোন করার কথা বললেও আর যোগাযোগ করেননি। ফোন ধরছিলেন না দেখে একই কম্পানিতে থাকা ছোট ভাইয়ের পরিচিতদের খবর দিলে তারা রুমে গিয়ে মনিরের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
আনোয়ার বলেন, ‘রুমে থাকা এক পাকিস্তানি ও এক ভারতীয়সহ তিনজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, মনির দুই বছর ধরে দুবাইয়ে কাজ করছিলেন। ছয় মাসের ছুটি শেষে মাত্র দুই মাস আগে ফেরেন। দেশে ফিরে বিয়ে করে ব্যবসা করার পরিকল্পনা ছিল তার। পরিবারের দাবি, মনির আত্মহত্যা করতে পারেন না; তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ভীমখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান জানান, ‘তাকে রুমে খুন করে ফ্যানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা ইউএনওর মাধ্যমে বিষয়টি সরকারকে জানাব।’
পরিবার মরদেহ দ্রুত দেশে আনা, হত্যাকারীদের বিচার এবং ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও দুবাই কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে।