চট্টগ্রামের গুণী ও সৎ মনীষীদের কর্ম এবং জীবন নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা জরুরি। কারণ তাঁদের জীবন থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সাংবাদিকতার মতো একটি মহৎ পেশার প্রকৃত মর্যাদা ও নৈতিকতা সম্পর্কে জানতে পারবে।
এজন্য গুণী মনীষী লোকমান খান শেরওয়ানীর আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ব্যতিক্রমী এক উদ্দ্যেগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম একাডেমি।
গুণী ও সৎ ব্যক্তিদের সম্মাননা জানাতে লোকমান খান শেরওয়ানী পুরস্কারের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।
জমকালো এক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম একাডেমি প্রবর্তিত প্রথম এই পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম (সিআরএফ)’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুরের হাতে।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা মনে করেন, এই পুরস্কারটি শুধু একজন সাংবাদিককে সম্মান জানানো নয়, এটি প্রকৃতপক্ষে লোকমান খান শেরওয়ানীর আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
বরেণ্য এক সাংবাদিকের হাতে তার সম্মাননার স্মারক তুলে দিতে পেরে গৌরব বোধ করছেন একাডেমির কর্মকর্তাবৃন্দরা।
এ বিষয়ে ড. আনোয়ারা আলম বলেছেন, সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুর একজন সৎ, সাহসি ও নির্লোভ সাংবাদিক। বিগত ২৭ বছর ধরে তিনি অনেকটা নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সমাজে তাঁর মতো সাংবাদিক পাওয়া কঠিন।
আজকে সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুরের হাতে লোকমান খান শেরওয়ানি পুরস্কার তুলে দিতে পেরে আমরা গর্বিত। তিনি কখনো পুরস্কার প্রাপ্তির আশায় সাংবাদিকতা করেন নি।
সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুরকে পুরস্কার দিতে পেরে চট্টগ্রাম একাডেমিও গৌরব বোধ করছে।
একাডেমির মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন কবি, সাংবাদিক রাশেদ রউফ।
বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ রীতা দত্ত, ড. মোহিত উল আলম, কবি নেছার আহমেদ, কবি অরুন শীল, চৌধুরী রওশন ইসলাম প্রমূখ।
এই পুরস্কার প্রাপ্তির পর নিজের অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে বরেণ্য সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুর বলেন, ‘লোকমান খান শেরওয়ানী সাংবাদিকতা পুরস্কার আমার সাংবাদিকতা জীবনের অন্যতম একটি অর্জন।
তিনি বলেন, কখনও পুরস্কারের কথা চিন্তা করে সাংবাদিকতা করিনি। সততার সাথে দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করে সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছি।
সাংবাদিক আবুল মনসুর বলেন, সাংবাদিকতার এ পুরস্কারের পেছনে পরিবারের ত্যাগ ভুলবার নয়। অনেক ঝুঁকি নিয়ে অনেক কিছু লিখতে হয়েছে। বাংলাদেশের মতো দেশে সতভাবে সাংবাদিকতা করা অনেক কঠিন।
কাজী আবুল মনসুর চট্টগ্রাম একাডেমির প্রশংসা করে বলেন, একাডেমির এ পুরস্কার প্রবর্তন করায় চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়েছে। তিনি চট্টগ্রাম একাডেমির সকল পরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
পরে অতিথিবৃন্দ সম্মিলিতভাবে কাজী আবুল মনসুরের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, নগদ সম্মানি ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।