চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব নগর হিসেবে গড়ে তুলে সারা বাংলাদেশে সবুজায়নের উদাহারণ তৈরী করবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
সোমবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরের এসএস খালেদ সড়ক (আসকার দীঘির পূর্বপাড়) ও সার্সন রোডের গোলচত্বরে ‘মৈত্রী-১’ এবং নূর আহমদ সড়কের ‘মৈত্রী-২’ ভাস্কর্য উদ্বোধনের সময় একথা বলেন মেয়র।
ভাস্কর প্রণব সরকার ও স্থপতি আইনুল ইসলাম শাওন শৈল্পিক ডিজাইন করেছেন ভাস্কর্যের দুটির। আর্থিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন ভেগাস ফার্নিচারের মালিক মো. সাইফুদ্দিন চৌধুরী দুলাল।
মেয়র বলেন, আমাদের চট্টগ্রাম সাগর, পাহাড় ও সমতলের সম্মিলনে একটি প্রকৃতি প্রদত্ত নান্দনিক শহর। এই শহরকে সুন্দর করার জন্য আমরা ‘গ্রিণ সিটি ক্লিন সিটি’ ভিশন নিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রাণের শহর তখনই বসবাসের সবচাইতে উপযুক্ত হবে যখন এ নগরের প্রত্যেক বাসিন্দা তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সুনাগরিকের ভ’মিকা পালন করবে। আমরা পুর নগরকে এলইডি লাইটিং এর আওতায় নিয়ে আসছি। এছাড়া নগরের সকল গোলচত্বর ও সড়ক বিভাজনকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো হবে।
জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন জয়নিউজকে বলেন, গোলচত্বর দুটি ভিন্নভিন্ন ওয়ার্ডের মিলনস্থল বলেই ভাস্কর্যগুলির নামকরণ করা হয়েছে ‘মৈত্রী। মেয়রের সার্বিক সহযোগীতায় আমরা জামালখানকে পর্যটন ওয়ার্ডে পরিণত করবো। ইতিমধ্যে আমরা জামালখানজুড়ে সৌন্দর্যবর্ধনের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। লাইভ ফিশ জোন ও বার্ড জোনের জন্য আমরা সিটি করপোরেশনে প্রকল্প সাবমিট করেছি। আশাকরি, ঈদুল আজহার পর কাজ শুরু করতে পারবো। আরও কিছু ম্যুরালের কাজ চলমান রয়েছে। জামালখানে একটি মুক্তমঞ্চ করে নিয়মিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনার সুযোগ সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।