চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করতে বায়েজিদ ও হালিশহরের ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ডকে (টিজি) ধাপে ধাপে আধুনিক ল্যান্ডফিল্ডে রূপান্তর করা হবে। এতে একদিকে পরিবেশ দূষণ কমবে, অন্যদিকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সোমবার দুপুর ৩টা থেকে ৪টায় টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে বি এন্ড এফ কোম্পানি লিমিটেড এবং চসিক এর মধ্যে ল্যান্ডফিল্ড গ্যাস প্রজেক্টের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন মেয়র।
চসিকের পক্ষে মেয়র এবং বি এন্ড এফ কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে পার্ক চোং ওয়ান ( Park Chong Wan) চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
বি এন্ড এফ কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন মেজর নাসিম, এডভোকেট তারানুম বিনতে নাসিম, মিঃ পার্ক চং ওয়ান, মিঃ পার্ক হি ওয়ান, মিঃ সিউন গওন চোই, মিসেস সান এ কোয়াক, মোঃ নোফিল তামিম খান, ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ কুমার সাহা, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউল করিম।
মেয়র বলেন, “চট্টগ্রামের প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা ছাড়া বিকল্প নেই। উন্নত নগর গড়তে হলে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি।”
এসময় মেয়র জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার বি এন্ড এফ কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতায় হালিশহরে বর্জ্য থেকে গ্যাস উৎপাদন করা হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি ১৫০ টন বর্জ্য প্রক্রিয়া করবে। পরে ধাপে ধাপে সক্ষমতা ২ হাজার টনে উন্নিত হবে। পরবর্তীতে আরেফিন নগরে একই ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর ফলে বর্জ্যের আকার কমে আসবে এবং কার্বন নি:সরণ কমবে। ফপে উন্নত হবে চট্টগ্রামের পরিবেশ।
সভায় চসিকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম প্রমুখ।
জেএন/এমআর