ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আন্তর্জাতিক নৌবহরে হস্তক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। বুধবার রাতে ভূমধ্যসাগরে অভিযান চালিয়ে অন্তত ছয়টি নৌযানে ঢুকে পড়ে তারা। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ একাধিক অধিকারকর্মীকে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘হামাস-সংশ্লিষ্ট’ দাবি করে ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান থামানো হয়েছে এবং সবার অবস্থান নিরাপদ। যদিও হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি তেল আবিব।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ বলছে, তারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় আইনগতভাবেই চলছিল। ইসরায়েলি হস্তক্ষেপকে তারা ‘অপহরণ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ফ্লোটিলার ভাষ্য, আমরা কোনো আইন ভাঙিনি। বরং অবৈধ হলো ইসরায়েলের গাজা অবরোধ ও জাতিগত নিধন।
এই ত্রাণবহরে ৪০টিরও বেশি নৌযান ও অন্তত ৫০০ আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারী রয়েছেন- যাদের মধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য, চিকিৎসক, আইনজীবী ও সাংবাদিকও আছেন। ফ্লোটিলার যাত্রা শুরু হয় স্পেন থেকে, পরবর্তীতে তিউনিসিয়া, ইতালি ও গ্রিস থেকেও এতে নৌযান যুক্ত হয়।
এর আগেও গত জুন ও জুলাইয়ে গাজাগামী দুটি ত্রাণবাহী নৌযান আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটক করে ইসরায়েল, যার একটিতে গ্রেটা থুনবার্গ ছিলেন। তখনও আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পড়েছিল ইসরায়েল।
গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ও হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৬৬ হাজার ফিলিস্তিনি। অঞ্চলটিতে চলছে তীব্র খাদ্য সংকট ও মানবিক বিপর্যয়।
জেএন/এমআর