চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলে বরযাত্রীবাহী বাস উল্টে আহত মো. ফয়সাল (৪৭) নামের একজন মারা গেছেন।
আজ রোববার ভোরে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত ফয়সালের স্ত্রী রাণী আকতারসহ (৩১) আরও চার জন গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন।
নিহত মোহাম্মদ ফয়সাল চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসংলগ্ন ডুরিয়াপাড়া ভাঙ্গারবাড়ি এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার বেলা দুইটার দিকে টানেলে বাস উল্টে তিনি আহত হন।
নিহত ব্যক্তির পরিবার ও টানেলসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফয়সাল পরিবারের ছয় সদস্য ও স্বজনদের নিয়ে একটি বাসে করে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকতসংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।
বাসটি টানেলের ভেতর প্রবেশের পর অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় ফয়সাল ও তাঁর স্ত্রী রানু আকতার (৩১) এবং মো. ফারুক (৫৩) নামে এক স্বজন গুরুতর আহত হন।
পরে রোববার ভোরে হাসপাতালে ফয়সালের মৃত্যু হয়। তাঁর আট বছর ও চার বছর বয়সী দুটি সন্তান আছে।
নিহত ফয়সালের ছোট ভাই সালাহ উদ্দিন জানান, শনিবার দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে দ্রুতগতিতে বাস চালানোর কারণে টানেলের মাঝে পথে বাসটি উল্টে যায়। এসময় বাসে থাকা ৩০ যাত্রীর মধ্যে ১২ জন আহত হয়।
সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান কর্তব্যরত চিকিৎসক ফয়সালকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলে তাদের নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আনোয়ারা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, টানেলে দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় ৬ জনকে আনা হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুনেছি তাদের মধ্যে ফয়সাল নামের একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের ভাই মো. বেলাল বলেন, আজ দুপুরে ফয়সালের লাশ সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি গতকাল জব্দ করা হয়েছে বলে জানান পতেঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক ফরিদুল আলম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার মামলা করলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।