গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ৫৩ জন নারী ও কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ কন্যা ও ২১ নারী। এরমধ্যে ২৮ কন্যাসহ ৪০ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ৪ কন্যাসহ ১২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ধর্ষণের পরে হত্যার শিকার হয়েছে এক নারী। এছাড়াও ৯ কন্যাসহ ১১জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর ২০২৫) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ তথ্য জানায়। সংস্থাটির কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে গত সেপ্টেম্বর মাসে মোট ২২৪ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ৯২ জন কন্যা এবং ১৩২ জন নারী। তারা ধর্ষণ ছাড়াও হত্যা, শারীরিক নির্যাতনসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
এই এক মাসে বিভিন্ন কারণে ১৩ জন কন্যা ও ৫১ জন নারীসহ মোট ৬৪ জন হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ জন কন্যা ও ১ জন নারী এবং ৪ জন কন্যা ও ১৮ জন নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মোট ১৫ জন আত্মহত্যার শিকার হয়েছে, এর মধ্যে আত্মহত্যায় প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
এই সময়ে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৫ জন কন্যা ও ৪ জন নারীসহ মোট ১৯ জন। এর মধ্যে ৯ জন কন্যাসহ ১০ জন যৌন নিপীড়নের শিকার, ৫ কন্যাসহ ৬ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার এবং সাইবার সহিংসতার শিকার ১ কন্যাসহ ৩ জন। এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে এক নারীর। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে এক নারী।
পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ নারী। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ জন কন্যাসহ ১১ জন। আর দুই নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ৫ কন্যাসহ ৭ জন অপহৃত এবং অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে এক কন্যাকে। এক কন্যার বাল্যবিবাহ হয়েছে। এছাড়াও বাল্যবিবাহের চেষ্টা করা হয়েছে দুই কন্যার।
সংবাদপত্রের তথ্য অনুযায়ী যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে তিনটি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতিত হয়েছে ২ জন এবং যৌতুকের কারণে এক নারী খুন হয়েছে।
এছাড়াও দুই কন্যা ও ৫ নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে দৈনিক সংবাদপত্রগুলো বলছে।
এক মাসে ২২৪ নারী ও কন্যা নির্যাতনের এই তথ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ থেকে উত্তরণে সবার আগে দরকার সচেতনতা, মনে করে সংস্থাটি।