চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সাংসদ ও রাষ্ট্রদূত নূরুল আলম চৌধুরী আর নেই। রোববার (২৭ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে পাঁচটায় নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে…..রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ছুটে যান তাঁর বাসায়। এসময় তিনি তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানান।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সিটি মেয়র বলেন, নূরুল আলমের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে রাজনীতি করেছিলেন। তার ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধুর আমলে ১৯৭৩ সালে সর্বকনিষ্ঠ এমপি হিসেবে ফটিকছড়িতে নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দলের জন্য নিবেদিত কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন।
নূরুল আলম চৌধুরী ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে দু’দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফটিকছড়ি নির্বাচনী এলাকা থেকে। তাকে ওমানের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেয়া হয় ২০১০ সালে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র নূরুল আলম চৌধুরী ১৯৭৩ সালে প্রথম বিসিএস উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা পরবর্তী বঙ্গভবনে খোন্দকার মোস্তাকের ডাকা বৈঠকে গিয়ে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেন। এতে তাঁর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়, যেতে হয় কারাগারে।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম জয়নিউজকে বলেন, সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে মরহুমের ১ম নামাজে জানাযা, বাদ জোহর ফটিকছড়ি কলেজ মাঠে ২য় নামাজে জানাযা এবং বাদ আসর রাষ্ট্রীয় সম্মাননার মাধ্যমে ফটিকছড়ির গোপালঘাটা মতিউর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩য় জানাযা শেষে লাশ দাফন করা হবে।