মিষ্টি আলুর সঙ্গে গোল আলুর কোনও সংযোগ নেই। মিষ্টি আলু সূর্যের আলোতে মাটির উপরে জন্মে। মিষ্টি আলু খোসা ছাড়া কিংবা খোসাসহ দু্ই ভাবেই খাওয়া যায়। মিষ্টি আলুতে রয়েছে অনেক খাদ্যগুণ।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি ভিটামিন এবং খনিজেরও দারুন উৎস। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায়-
১. ‘সুপার ফুড’হিসাবে পরিচিত মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এ কারণে এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুন কার্যকরী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাল ফল পেতে খোসাসহ মিষ্টি আলু খাওয়া উচিত।
২. প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় মিষ্টি আলু হজমের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত এটি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।
৩. গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সীমিত আকারে মিষ্টি আলু খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. বিটা ক্যারোটিনসমৃদ্ধ মিষ্টি আলু চোখ সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।
৫. অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি আলু খেলে তা কিডনির জটিলতা বাড়ায়। তবে যে কেউ এটা স্বল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
৬. এক কাপ পরিমাণ মিষ্টি আলুতে দিনের চাহিদার প্রায় অর্ধেক ভিটামিন সি থাকে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ-ও পাওয়া যায়। এ কারণে মিষ্টি আলু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৭. মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।
৮. ফাইবারসমৃদ্ধ মিষ্টি আলু খেলে অনেকক্ষন পেট ভরা অনুভূত হয়। ফলে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি কমে যায়।