চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, একজন ধার্মিক ব্যক্তি কখনোই সাম্প্রদায়িক হতে পারেন না। ধর্মান্ধ ব্যক্তি ধর্ম বাদ দিয়ে সম্প্রদায়কে প্রাধান্য দেয় বলেই সাম্প্রদায়িতকতার সৃষ্টি হয়। তাই ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতা মানবতা পরিপন্থি।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় চবি এ কে খান আইন অনুষদ মিলনায়তনে দ্য ইউনাইটেড নেশনস ডেমোক্রেসি ফান্ড-এর সহায়তায় এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘অসাম্প্রদায়িকতা, শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষা ও উগ্রবাদ প্রতিরোধ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
উপাচার্য বলেন, অন্ধকারকে নিধন করে আলোর প্রজ্জ্বলন ঘটাতে না পারলে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প থেকে নিজেদের মুক্ত করা সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধের নির্ভীক চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশিত জনকল্যাণমুখী বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জঙ্গী-সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্পসমূহ বাস্তবায়নে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে দেশের কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে।
ড. ইফতেখার এ সমস্ত ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদ প্রতিহত করতে সকলকে স্ব স্ব ধর্মের যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে সত্যিকারের ধার্মিক হয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার সাহসী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সমন্বয়ক সঞ্জয় মজুমদারের সভাপতিত্বে ও অর্থনীতি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নোশিন নাওয়ালের উপস্থাপনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংস্কৃতিক কর্মী রাশেদ হাসান। সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান এবং নাট্যকলা বিভাগের অতিথি শিক্ষক মোস্তফা কামাল যাত্রা।