বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ১৩ আগস্ট দিবাগত রাত থেকে সেলফোন অপারেটরদের অননেট-অফনেট কলের ট্যারিফ সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা ছাড়া এ ধরনের ট্যারিফ নির্ধারণ ভোক্তা স্বার্থ লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করে একতরফা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।
ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, একতরফা ট্যারিফ বাড়িয়ে ৪৫ পয়সা থেকে ২ টাকা করার কারণে সেল ফোন কোম্পানিগুলো এখন কম পয়সায় কথা বলার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ট্যারিফ আদায়ে প্রতিযোগিতায় নামবে। সরকার ইন্টারনেটের ভ্যাট হ্রাস করার পরও অপারেটররা এখনও ট্যারিফ কমায়নি। সেখানে বিটিআরসি ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো ট্যারিফ বাড়ানোর পথ প্রশস্ত করে দিলো। অন্যদিকে, মোবাইল অপারেটররা বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করেনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বারবার তাগাদা দেবার পরও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং সরকারি রাজস্ব পরিশোধে বাড়তি অর্থ আহরণের জন্য গ্রাহকদের উপর এ ট্যারিফ চাপিয়ে দিয়েছে। এটা ভোক্তা স্বার্থ পরিপন্থি। তারা বিটিআরসিতে ভোক্তা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান প্রমুখ।
জয়নিউজ/আরসি