আসিয়া বিবির মৃত্যুদণ্ডের সাজা মওকুফ নিয়ে রায় বহাল রাখল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৮ সালের অক্টোবরে আসিয়া বিবিকে ধর্মদ্রোহের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওই মহিলার মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখার আর্জি নিয়ে ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কয়েকটি কট্টরপন্থী সংগঠন।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সেই আর্জি খারিজ করে দিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। এ বারে তাঁর বিদেশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে আর বাধা রইল না।
অক্টোবরে পাক সুপ্রিম কোর্ট আসিয়াকে বেকসুর খালাস করার পরেই ‘তেহরিক ই লাবাইক’-এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু করে কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি। আসিয়া বিবিকে মুক্তির রায় দেওয়া বিচারপতিদের প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। পাশাপাশি ইমরান খান সরকারের বিরোধিতায় সরব হয় সংগঠনগুলি। শেষে সুপ্রিম কোর্টে ওই রায় পর্যালোচনা করে দেখার আর্জি জানানো হয়।
আগেই আট বছর কারাবাসে কাটানো আসিয়া বিবি এ দিনের রায় শুনে উচ্ছ্বাস চেপে রাখেননি। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এক গোপন জায়গায় রয়েছেন তিনি।
নাম না প্রকাশের শর্তে সংবাদমাধ্যমের কাছে আসিয়ার প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে তাঁর এক বন্ধু জানান- আসিয়া বলেছেন ‘নয় বছর বাদে মেয়েদের জড়িয়ে ধরতে পারব!’
আসিয়ার মেয়েদের আশ্রয় দিয়েছে কানাডা। প্রাণনাশের হুমকির জেরে দেশছাড়া হয়েছিলেন আসিয়ার আইনজীবী সইফুল মালুক। এ দিনের শুনানির জন্য দেশে ফিরেছেন তিনি। সইফুল এই রায়কে ‘পাকিস্তানের সংবিধান এবং আইনের জয়’ বলে ব্যাখা করেছেন।
প্রধান বিচারপতি আশিফ সইদ খান খোসার বেঞ্চ এ দিন পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করতে গিয়ে বলেন, শপথ ভঙ্গ করা এবং ভুল তথ্য দেওয়ায় অভিযোগকারীদের কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারত। নেহাত মামলাটি সংবেদনশীল, তাই তেমন কোনো পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।