চট্টগ্রামে বিখ্যাত মেজবানি মাংস আক্ষরিক অর্থেই অতুলনীয় একটা খাবার। যিনি একবার খেয়েছেন, আজীবন তার মুখে লেগে থাকবে এর স্বাদ। তবে হ্যাঁ, মজাদার এই খাবারের “সিক্রেট” রেসিপি কিন্তু বাবুর্চিরা দিতে চান না। তাই ঘরেই যতই রান্না করুন না কেন, ঠিক যেন বাবুর্চির হাতের স্বাদ মেলে না। চিন্তা নেই, এখন থেকে আপনার রান্না মেজবানি মাংসও হবে ঠিক বাবুর্চিদের মতই। দেখে নিন দারুণ সহজ এক রেসিপি। এই রেসিপিতে আপনি সহজেই আনতে পারবেন সেই অসাধারণ স্বাদ।
যা লাগবে: গরুর মাংস ২ কেজি (ছোট টুকরা করে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নেওয়া), ২ কাপ পেঁয়াজ কুচি করা, ১ কাপ পেঁয়াজ বাটা, তেল আধা কাপ (সয়াবিন+সরিষার), আড়াই টে চামচ আদা বাটা, দেড় টে চামচ রসুন বাটা, ১ চা চামচ করে শাহি জিরা ও ধনিয়া গুঁড়া। আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া, ঝালবিহীন স্পেশাল শুকনা মরিচ গুঁড়া ৩-৪ টে চামচ বা পরিমাণমতো (চট্টগ্রামে ব্যবহার করা হয় মিষ্টি মরিচ গুঁড়া), ৮-১০ টা কাঁচামরিচ (বা নিজের পরিমাণ মতো), ১ টে চামচ চিনি, ৩/৪টা তেজপাতা এবং ৪/৫টা ভাজা আলু (আপনি খেতে চাইলে দিতে পারেন)।
মেজবানি মাংস স্পেশাল মসলা: ২-৩ টা এলাচ, ২ টুকরা দারচিনি (১ ইঞ্চি সাইজ), ৪-৫ টা লবঙ্গ, পরিমাণমতো জায়ফল, আধা চা চামচ জয়ত্রি, গোলমরিচ ৫-৬ টা এবং আধা চা চামচ পোস্তদানা। সব একসঙ্গে পানি দিয়ে বেটে পেস্ট করে নিতে হবে।
যেভাবে তৈরি করবেন: পেঁয়াজ কুচি, চিনি ও তেজপাতা ছাড়া বাকি সব উপকরণ মাংসের সঙ্গে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। একটা পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও তেজপাতা দিয়ে হালকা লাল হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে এবার মাখানো মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ কষাতে হবে (৪-৫ মিনিট)। এবার বেশি করে পানি দিয়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচে রান্না করতে হবে, ১ ঘণ্টার মতো। রান্না করার সময়ই ঢাকনাটা ভালো করে সিল করে নিতে হবে। রান্না হয়ে গেলে নামানোর আগে ভাজা আলু দিয়ে দিন।
মনে রাখবেন: সব মসলা ভালো করে পেস্ট করতে হবে। মাংস ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। মাংসের পিস ছোট ছোট হতে হবে। সবচেয়ে জরুরি- রান্নার পাত্রের ঢাকনা ভালো করে সিল করে নিতে হবে। মনে রাখবেন, অল্প জ্বালে রান্না করতে হবে।