মিয়ানমারে অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র (এনএলডি) প্রণীত সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ পদক্ষেপে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও সংবিধানে কি ধরনের সংশোধন হতে পারে, সে বিষয়ে এনএলডি কিছু জানায়নি।
২০১৫ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে অং সান সুচির দল ক্ষমতায় আসে। এনএলডি সরকার এতদিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করে দেশ পরিচালনা করে আসছিল। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) মিয়ানমারের পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধন নিয়ে কাজ করার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখে এনএলডি। ওই প্রস্তাব নিয়ে ভোটের সময় সেনাবাহিনীর পোশাক পরা এমপিরা ভোট না দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ভোটাভুটির পর সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। পরে শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) পার্লামেন্টের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এ বিষয়ে আবারও আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়।
সেনা এমপিরা বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবটির আলোচনা প্রক্রিয়ার অনুমোদন দেওয়া পার্লামেন্টের প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন। সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ এমপি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মং মং বলেছেন, আমরা এখনো সেনাপ্রধানের অবস্থানের ব্যাপারে জানি না। এই প্রক্রিয়ায় আমরা অংশগ্রহণ করব কি-না সে ব্যাপারে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর করা খসড়ায় সংসদের দুই কক্ষেই সেনাবাহিনীর জন্য এক-চতুর্থাংশ আসন সংরক্ষণের বিধান করা হয়। আর সংবিধানে পরিবর্তন আনার জন্য অন্তত পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশের বেশি সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন।