লাশের গলায় ঝোলানো ছিল চিরকুট। সেখানে লেখা ছিল নিহত ব্যক্তি ধর্ষণের আসামি। আরও লেখা ছিল ‘ধর্ষকের পরিণতি ইহাই’। খুনির নাম সেখানে লেখা ‘হারকিউলিস’!
ঘটনা ঝালকাঠি জেলার। চিরকুটে লেখা পরিচয় অনুযায়ী, নিহতের নাম রাকিব। সে দুই সপ্তাহ আগে ভাণ্ডারিয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি রাকিব হাসান বলে পুলিশের ধারণা।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে রাজাপুর উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামে একটি ইটভাটার পাশের মাঠ থেকে রাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, এর আগে ওই মামলার অপর আসামি হাসান সজল জোমাদ্দারকেও হত্যা করে গলায় চিরকুট বেঁধে লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল ধানক্ষেতে। তবে কে বা কারা তাদের হত্যা করে লাশ ফেলে গেছে, সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছে না পুলিশ। রাকিবের লাশের সঙ্গে চিরকুটে হত্যাকারী নিজের পরিচয় হিসেবে লিখে রেখে গেছে গ্রিক পুরানের বীর হারকিউলিসের নাম।
পুলিশ আরো জানায়, রাকিবের মাথায়, মুখে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আর গলায় ঝোলানো চিরকুটে লেখা ছিল- “আমি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার… ধর্ষক রাকিব। ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকরা সাবধান। হারকিউলিস।”
প্রসঙ্গত, ভাণ্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া গ্রামে গত ১২ জানুয়ারি সকালে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে পানের বরজে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার পর মেয়েটির পরিবার গত ১৭ জানুয়ারি ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা করে। মামলায় রাকিব হাসান (২৮) এবং সজল জোমাদ্দারকে (২৮) আসামি করা হয়।