মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, সংস্কৃতি বিকৃতিকারী ও তার লালনকারীদের সংস্কৃতিচর্চা করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী আহ্কাম উল্লাহ।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে বোধন আবৃত্তি স্কুল চট্টগ্রামের ‘অনন্য-৫১’আবর্তনের নবীনবরণে তিনি একথা বলেন।
নবীনবরণে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংস্কৃতিচর্চা হতে হবে সুস্পষ্ট। তা নাহলে আবৃত্তি ও সংস্কৃতিচর্চা সবার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ বলেন, সূর্য উঠলেই সকাল হবে না। যতক্ষণ না মায়ের ছেলেরা জেগে না ওঠে। আমরা দেখেছি ১৯৫২, ১৯৭১ ও স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও বাংলা মায়ের ছেলেরা প্রমাণ করেছে, এ দেশের সূর্য কখনো অস্ত যাবে না। তাঁরা বার বার সত্যকে আঁকড়ে ধরে সামনে এগিয়ে চলেছে।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। কিন্তু সংস্কৃতির শেষ কথা হচ্ছে সভ্যতা, মানবতা, গণতন্ত্র, ভ্রাতৃত্ববোধ। এগুলো বাদ দিলে সংস্কৃতি হবে না।
অনুষ্ঠানে বোধন আবৃত্তি স্কুলের সাবেক অধ্যক্ষ ও দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রণজিৎ রক্ষিত আবৃত্তি পদক ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পৃথক লোগো উন্মোচন করেন অতিথিরা।
বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের স্থায়ী পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক আবৃত্তিশিল্পী সোহেল আনোয়ারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ হাসান ও বোধন আবৃত্তি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপিকা সুবর্ণা চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পঞ্চাশতম আর্বতনের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে নবীন প্রশিক্ষণার্থীদের ফুল, ডায়েরি ও পান্ডুলিপি দিয়ে বরণ করা হয়। একক আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী শুভ রক্ষিত, অজান্তা দাশ টুম্পা ও জসীম উদ্দিন।
জয়নিউজ/হিমেল/পলাশ/জুলফিকার