চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একটি আবাসিক হলের রুমের সিট দখলকে কেন্দ্র করে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। প্রক্টর অফিসে এ খবর পৌঁছানোয় তার বন্ধুকেও বেধড়ক পেটায় মারধরকারীরা।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এমদাদুল হক এবং বিপিএড কোর্সের ফাহিম হাসান। তিনি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
অন্যদিকে মারধকারীরা শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদের অনুসারী। ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবেও পরিচিত তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এমদাদুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে অবস্থান করছিলেন। স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষে তিনি কক্ষটি ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কক্ষটি বরাদ্দ পেয়েছেন আরেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিপিএড কোর্সের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম। কিন্তু শুক্রবার ওই কক্ষটি অবৈধভাবে দখল করতে যায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। বিষয়টি হল ছাত্রলীগের এক সিনিয়র নেতাকে অবহিত করলেও ছাত্রলীগ কর্মীরা এমদাদুল হককে তার কক্ষে বেধড়ক মারধর করে। এ খবর শুনে তার বন্ধু ফাহিম হাসান বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে অবহিত করলে তাকেও হলের সামনে ১৫-২০ জন মিলে মারধর করে।
এ বিষয়ে এমদাদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তবে ফাহিম হাসান জয়নিউজকে বলেন, ‘পরিবহন দপ্তরের সামনে ছিলাম। এমদাদকে মারধরের খবর পেয়ে প্রক্টর স্যারকে জানাই। এসময় পাশে থাকা ছাত্রলীগের কর্মীরা এটি জানতে পেরে আমাকে টেনে-হিঁচড়ে হলের সামনে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন কর্মী মিলে আমাকে হলের ফটকে মারধর করে।’
শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদ জয়নিউজকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জেনেছি। খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, মারধরের বিষয়টি আমরা শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।