চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চসিকের কে বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত প্রস্তাবিত খাল খনন প্রকল্পের এলাইনমেন্টের পূর্ব ষোলশহর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
মেয়র বলেন, খাল খননের জন্য যে সব ভূমি মালিকের ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে তাদের টাকা যথাযথ প্রক্রিয়ায় মৌজা মূল্যের ৩ গুণ নির্ধারণ করে পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে এক চুল পরিমাণ অনিয়মের কোন সুযোগ থাকবে না। মালিকরা যাতে তাদের টাকা যথাযথভাবে দ্রুত বুঝে পান, সে ব্যাপারে করপোরেশনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। প্রকল্প এলাকায় খাল খননের নকশার লে-আউট টাঙানো থাকবে বলেও জানান তিনি।
মেয়র বলেন, কোন ভূমি মালিকের ভবন যদি প্রকল্পের প্রস্তাবিত এলাইনমেন্টের মধ্যে পড়ে, তবে তাদেরকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়মনুসারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
মেয়র নাছির বলেন, ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানের অনুসরণে প্রকল্পের সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ করে নতুন প্রস্তাবনার আলোকে এই খাল খনন করা হবে। এজন্য ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এই প্রকল্পের মূল ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা। সংশোধিত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২শ’ ৫৬ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এই খাল খনন প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের বেশ কয়েকজন ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান অনুসারে খালটি খনন করার অনুরোধ করেন মেয়রের কাছে। মতবিনিময় সভায় পূর্ব ষোলশহর এলাকার প্রায় শতাধিক ভূমি মালিক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম ও এস্টেট অফিসার এখলাছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।