কর্ণফুলী নদীর তীরে জেলা প্রশাসনের অভিযানে চার দিনে সাত একর জমি অবৈধ দখলমুক্ত হয়েছে। এসময় ১৭০টি ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযানের চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয় বলে জয়নিউজকে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান।
তিনি বলেন, প্রথম দিন সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সাত একর জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করেছি। প্রথম দফার উচ্ছেদ অভিযান আগামী শনিবারের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি। আগামীকাল (শুক্রবার) এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম পর্বে সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ২০০টি অবৈধ স্থাপনাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে ১০ একর জমি উদ্ধার করা হবে। অভিযানে র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অংশ নেন। এছাড়া কাজ করছেন ১০০ জন শ্রমিক। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মাঝিরঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি মালিকরা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের স্থাপনা। মাঝিরঘাট এলাকার লবণ কারখানা আল কমর সল্ট ইন্ডাস্ট্রির মালিক মো. ইদ্রিস জয়নিউজকে বলেন, আর কয়েকটা দিন সময় পেলে মালামাল সরিয়ে নিতে পারতাম। উচ্ছেদ অভিযানের কারণে তার প্রায় ৫ কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বন্দরের জায়গায় কেন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্দর থেকে লিজ নিয়েই তিনি কারখানা গড়ে তুলেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, উচ্ছেদ অভিযানের পর কী পরিমাণ জমি ভূমিদস্যুরা দখল করে নিয়েছিল তা দৃশ্যমান হচ্ছে। আদালতের রায়ের পরও অনেকের ধারণা ছিল অতীতের মতো সব কিছু ‘ম্যানেজ’ করে দখল বজায় রাখবেন। কিন্তু তা আর তাদের করা হচ্ছে না।
প্রভাবশালীদের কবল থেকে কর্ণফুলীকে দখলমুক্ত করার অভিযানের জন্য প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।