নগরের বাজারগুলোতে বেড়েছে মুরগির মাংসের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মুরগির মাংসের দাম ১০ টাকা বেড়েছে। এখনও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ।
শীতের সবজির পাশাপাশি আগাম পাওয়া যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম বেশি হলেও স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য সবজির দাম।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নগরের কাজির দেউড়ি, দেওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। লেয়ার মুরগি (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা থেকে ২০৫ টাকায়। মাঝারি সাইজের পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। বড় সাইজের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।
মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস আগের মতোই ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাজির দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগাম সবজির মধ্যে করলা প্রতি কেজি ৭০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৫০ টাকায়, লাউ ৪০ টাকায়, শিম ১৫ টাকায়, বেগুন ২০ টাকায়, ফুলকপি প্রতি কেজি ২৫ টাকায়, বাঁধাকপি ২৫ টাকায়, মুলা ২০ টাকায়, টমেটো ৩০ টাকায়, আলু ১৫ টাকায় ও কাঁচা মরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পালং শাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ী কামাল জয়নিউজকে বলেন, বাজার এখন সব ধরনের শীতের সবজিতে ভরপুর। যে কারণে সবজির দাম তুলনামূলক কম। শীতের সবজি শেষ হয়ে এলেই আবার সবজির দাম বেড়ে যাবে। বর্তমানে আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজি পাওয়া গেলেও দাম বেশি।
এদিকে বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, তেলাপিয়া মাছ ১৪০ টাকায়, শিং মাছ ২০০ টাকায়, পোয়া ২০০ টাকায়। তবে ইলিশের দাম বেড়েছে হালিতে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।
জয়নিউজ/আরসি