উপজেলার রাইখালীর কারিগরপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডাবল মার্ডারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’দিনে ৮ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
আটককৃতরা হলেন থুইসিং মারমা(৪০), মংছাপ্রু মারমা (৫৩), তেজেন্দ্র তনচঙ্গ্যা (৩৬), উথাইনু মারমা(৪৮), চাছিং মং মারমা(২৫) ও থাওয়াই মং মারমা (২৪)।
এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) খোংসাথুই মারমা প্রকাশ মোস্তফা (৫২) ও তপন তালুকদার (৩২) নামের দু’জনকে যৌথবাহিনী রাইখালী থেকে আটক করে। আটককৃতদের চন্দ্রঘোনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাইখালী ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে যৌথবাহিনী। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়ায় মাসিং মারমার চায়ের দোকানে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডারত অবস্থায় মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে মংসিনু মারমা (৪০) ও তার বন্ধু মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩২) নিহত হন।
নিহত দু’জনকে কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগ তাদের কর্মী বলে দাবি করেছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পরদিন আধাবেলা হরতাল পালন করে। খুনের ঘটনায় নিহত মংসিনু মারমার শ্বশুর আপ্রু মারমা বাদি হয়ে চিহ্নিত ২১ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রঘোনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উদ্দিন খুনের ঘটনায় আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জয়নিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে।