উত্তপ্ত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যসভায় উঠছে নাগরিকত্ব (সংশোধিত) বিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের এ বিল উত্থাপন করার কথা রয়েছে।
বিলটিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু ৬টি সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আগে বিলটিকে কেন্দ্র করে ভারতের পার্লামেন্টে ব্যাপক হট্টগোল হয়েছে। বিলের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী কংগ্রেস ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সরকার আশা করছে, রাজ্যসভায় উত্থাপনের মধ্য দিয়ে বিলটিকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার শেষ চেষ্টা তারা করবে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘালয়, আসাম, মিজোরাম, মনিপুর প্রভৃতি রাজ্যে তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। এ বিল নিয়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যেও। তাদের আশঙ্কা, বিলটি পাশ হলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
এনডিটিভি বলেছে, ১৯৫৫ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ভারতের বর্তমান সরকার সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০১৬ উত্থাপন করে। এর আওতায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিলটির বিরোধিতা করেছে নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলো।
তারা বলছে, এর ফলে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া হিন্দু নাগরিকদের নাগরিকত্ব অনুমোদন দেওয়া হবে। ফলে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় অন্য দেশের অভিবাসীদের আধিক্য বৃদ্ধি পাবে।