দলের টপঅর্ডার ব্যর্থ, মিডলঅর্ডারের কেউই পারেননি নিজেদের ইনিংস বড় করতে। আবার পঞ্চাশ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে একশোর আগে অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের। তবে সেখান থেকে বাংলাদেশের ইনিংসকে ভদ্রস্থ করেছেন পাঁচ নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুন এবং নয় নম্বরে নামা সাইফুদ্দিন। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক নিউজ্যিলান্ডকে ২৩৩ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে দলীয় ৫ রানে আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে মিডল অর্ডারের সাবধানতায় ৪৪ ওভারে দুইশ পার করে বাংলাদেশ।
তামিম ফেরার পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে সফরকারী বাংলাদেশ। আরেক ওপেনার লিটন দাস ব্যক্তিগত ১ রানে ম্যাট হেনরির বলে বোল্ড হন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম।
তবে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ করে দলীয় ৪২ রানে বোল্টের বলে প্যাভিলিযনের পথ ধরেন মুশফিক। আস্থার সঙ্গে ব্যাট করতে থাকা সৌম্য সরকারও ক্রিজে টিকতে পারেননি খুব বেশি সময়। ২২ বলে ৩০ রান করে সাজ ঘরে ফেরত যান তিনিও।
প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ পূর্ণ করে ৫০ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ এবং মোহাম্মদ মিঠুন। তবে নিউজিল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান তোলার গতি ছিল খুবই ধীর। দলীয় ৭১ রানে ফার্গুসনের বলে স্লিপে রস টেইলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। তার পরে ক্রিজে নামা সাব্বির রহমানও ২০ বলে ১৩ রান করে ফেরত যান।
দলকে এগিয়ে চেষ্টা করেন মেহেদি হাসান মিরাজও। দলীর স্কোর শত পার করে টেনে নিয়ে আরও কিছু দূর। তবে ২৭ বলে ২৬ রান করে স্যান্টনারের বলে আউট হয়ে ফেরেন তিনিও।
এরপর ক্রিজে আসেন সাইফুদ্দিন। এসেই মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। দলীয় ২১৫ রানের মাথায় স্যান্টনারের বলে গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনিও। সাইফুদ্দিন করেন ৪১ রান।
সাইফুদ্দিনের বিদায়ের পর মোহাম্মদ মিঠুনও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ২২৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬২ রানে ফার্গুসনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে মাশরাফি বিন মর্তুজা অপরাজিত থাকেন ৯ রান করে।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং মিচেল স্যান্টনার। ম্যাট হেনরি ও লকি ফার্গুসন নেন ২টি করে উইকেট।