এবার সব ধরনের গ্যাসের দাম ৬০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো।
জানা গেছে, গ্যাস বিতরণ কোম্পানীর চাপে অনেকটা বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানি করার পরিকল্পনা করছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে এই গণশুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, লোকসানের অজুহাতে ২০১৮ সাল থেকে গ্যাসের দাম বাড়াতে চাপ দিয়ে আসছে গ্যাস বিতরণ কাজে নিয়োজিত কোম্পানীগুলো। তাদের দাবি গ্যাসের উৎপাদন মূল্যে বিক্রয় ও বিতরণ মূল্যে পার্থক্যে অনেক। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পাড়ছে না কোম্পনীগুলো। এ কারণে অনেক লোকসান দিতে হচ্ছে। প্রস্তাবিত ৬০ ভাগ যেকোনো গ্যাসের মূল্যে বাড়ানো হলে কিছুটা হলেও লোকসান ঠেকানো যাবে। যদিও এ বিষয়ে বির্তক আছে গ্রাহকদের। কারণ গ্রাহকদের দাবি আন্তজার্তিক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাংলাদেশের থেকে অনেক কম। তাই দাম আরো কমানো উচিত। চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে গ্যাস নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসির কাছে তিতাসসহ বিতরণ কোম্পানিগুলো নতুন ওই প্রস্তাব দেয়।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসে সরকার। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, জাতীয় নির্বাচনের কারণে তখন দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।
সূত্র জানায়, নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী দাম বাড়ানো হলে বাসাবাড়ির দুই বার্নার চুলার বিল ৮০০ থেকে বেড়ে ১২০০ টাকা হবে। এক বার্নারের দাম ৭৫০ থেকে বেড়ে এক হাজার টাকা হবে। এছাড়াও দাম বাড়বে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সিএনজি, শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম।