সন্দ্বীপে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে এই দ্বীপ উপজেলায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। তাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটছেন অনেক রোগী।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ২০ শয্যার হারামিয়া হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, মাত্র ১ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে আউটডোর। এখানে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন ডা. সাইফউদ্দিন সোহাগ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালের করিডোরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে রোগীদের।
গুপ্তছড়া বাজার থেকে আসা ৫৫ বছরের রোগী আজমলা খাতুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে এ সরকারি হাসপাতালে আসেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাঁকে ১০ মাইল দূরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে বলেন।
আজমলা খাতুন জয়নিউজকে বলেন, প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হারামিয়া আধুনিক হাসপাতাল ভবনটি আজ থেকে ১১ বছর আগে তৈরি করা হলেও এখানে ইনডোর চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থাই চালু হয়নি।
সন্দ্বীপ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, আউটডোর চেম্বারে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলামের বদলে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোস্তফা কামাল এক শিশুর খৎনা করাচ্ছেন।
মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, ৩১ শয্যার এ হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের ২৩ জন নারী-পুরুষ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। একজন ডাক্তার দিয়ে এ সেবা চলে না।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমনা সুলতানা বলেন, দিনে-রাতে যখনই রোগী আসে তখনই চিকিৎসাসেবা দিই। বিশেষ করে গাইনি রোগীদের।
তিনি বলেন, হাসপাতালের ৫১ শয্যা নতুন ভবনটি উদ্বোধন হয়ে গেলে এখানে জরুরি অস্ত্রোপচারসহ অনেক আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে। সন্দ্বীপবাসী এখানে চিকিৎসাসেবা পাবে।
চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম জয়নিউজকে বলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তারেরা নানা অজুহাত দেখিয়ে সন্দ্বীপ থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান। তবে সহসা নতুন ডাক্তার আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।