খেতে সুস্বাদু, ফলন বেশি এবং লাভজনক হওয়ায় বান্দরবানে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বারী-৬ জাতের হাইব্রিড শিমের চাষ বাড়ছে। স্থানীয়দের কাছে ‘গিরা শিম’ নামে পরিচিত এই শিমের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
কৃষি বিভাগের মতে, চলতি মৌসুমে জেলার ৭টি উপজেলায় ৬১৫ হেক্টর জমিতে এ শিমের চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার শিম চাষ বেড়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ৭ হাজার ৯৫৪ মেট্রিক টন। এ বছর সেটিও ছাড়িয়েছে দাবি কৃষকের।
এতদিন মূলত সীতাকুণ্ডে ভ্যারাইটি এবং ইপসা উন্নত ভ্যারাইটি দুই জাতের শিম চাষ বেশি হতো। কিন্তু কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সহায়তায় উদ্ভাবিত বারী-৬ জাতের উচ্চ ফলনশীল শিমের চাষ এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বান্দরবানে।
কুহালং ইউনিয়নের শিমচাষি নুমেচিং, চাথোয়াই মারমা বলেন, ক্যায়ামলং, ভরাখালী, ডলুপাড়াসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন উদ্ভাবিত বারী-৬ জাতের উচ্চ ফলনশীল শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। আর স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা মিটিয়ে পাহাড়ে উৎপাদিত বারী-৬ শিম চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। চাহিদা থাকায় এ জাতের শিমের চাষ বাড়ছে পাহাড়ি অঞ্চলে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. খলিলুর রহমান ভূঁইয়া জানান, বারী-৬ শিম উদ্ভাবিত একটি উচ্চ ফলনশীল ভ্যারাইটি। স্থানীয় কৃষকদের কাছে এটি ‘গিরা শিম’ নামে পরিচিত। এর চাষ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাহাড়ি অঞ্চলে। কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে এ শিম বিক্রি করে ভালো দামও পাচ্ছে কৃষক।
কৃষকদের মাঝে বীজ, সার, প্রয়োজনীয় কৃষি উপাদানসহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে ফাউন্ডেশন, জানালেন তিনি।