মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইটে সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ দাবি করার বিষয়ে কৈফিয়ত দিয়েছেন মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অং মিন্ট। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কাজকে মিয়ানমারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বলে কড়া সমালোচনা করা হয়।
কেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় তিনটি ওয়েবসাইটে নিজেদের অংশ হিসেবে মানচিত্রে দেখানো হয়েছে সে বিষয়ে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সেন্টমার্টিন কেবল অপরিসীম সৌন্দর্যের লীলাভূমি নয়, কৌশলগত কারণেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই প্রবাল দ্বীপ। উনিশ শতকের আগ থেকেই এটি তৎকালীন ভারতবর্ষ তথা আজকের বাংলাদেশের অংশ। পুরানো মানচিত্রেও কখনো সেন্টমার্টিনকে নিজেদের বলে দাবি করেনি মিয়ানমার।
গত বছরের অক্টোবরে জনসংখ্যা অধিদপ্তরসহ কয়েকটি ওয়েবসাইটে সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ দাবি করে মিয়ানমার। সে সময় রাষ্ট্রদূতকে তলব করলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
পরে জাতিসংঘকে বিষয়টি জানালে ভুল স্বীকার করেছিল সংস্থাটি। ওয়েবসাইট থেকে পরে সরানো হয়েছিল ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করা মিয়ানমারের সেই মানচিত্র।
সেই ভুল মানচিত্র আবারও দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারের সরকারি ওয়েবসাইটে। সেন্টমার্টিন ছাড়াও শাহ পরীর দ্বীপকে তাদের অংশ বলে দেখানো হচ্ছে সেখানে।