চকরিয়ায় ডাকাতদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ওসিসহ পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় দেশীয় তৈরি দুটি লম্বা বন্দুক, চারটি এলজি বন্দুক, দুটি ছোরা ও ১৭ রাউন্ড গুলিসহ তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চকরিয়া-লামা আলীকদম সড়কের ফাঁসিয়াখালী রিংভং বালু রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চকরিয়া থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের লামা-আলীকদম সড়কে রাত ১১টার দিকে ৭-৮ জন ডাকাত ফাঁসিয়াখালী রিংভং বালুর রাস্তা মাথা সড়ক এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদ পেয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
এসময় ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে ১৫-২০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা ১০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। একপর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের তিন সদস্যকে পুলিশ আটক করে।
ডাকাতদের ছোঁড়া গুলিতে চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, এসআই আলমগীর ও এসআই সুকান্ত চৌধুরী আহত হয়েছেন। তাদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আটক ডাকাতরা হলেন চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী গর্জনতলী এলাকার নুরুল হুদার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৮), ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকার মৃত আনু মিয়ার ছেলে এনামুল হক (৩৫) ও মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাপুয়া এলাকার জালাল আহমদের ছেলে আবদুল হামিদ (৩০)।
চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জয়নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে চকরিয়াসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করেছে। ডাকাতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।