আখ চাষে সফল খাগড়াছড়ির কৃষক। দিনে দিনে বাড়ছে পাহাড়ি জমিতে আখ চাষ। এতে অন্য ফসল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে তারা।
কম খরচে অধিক ফলন আখ চাষে। কৃষক লাভবান হচ্ছে অল্প পরিশ্রমে। আখের ফলন ভালো হওয়ায় নতুন করে কৃষক আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছে। ধান ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশি হওয়ায় আখ চাষে তাদের এ আগ্রহ।
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি, দীঘিনালা, মাটিরাঙ্গা, রামগড় ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় নিজ জমিতে আখ চাষ করে অধিক ফলন পেয়েছে কৃষক। অনেকেই আধুনিক পদ্ধতিতে ভালো জাতের আখ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর পুরো জেলায় ৪৭৭ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। কম পরিশ্রমে অল্প ব্যয়ে বেশি ফলন কৃষককে আখ চাষে আগ্রহী করছে। আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। তবে তিনবার সেচের প্রয়োজন পড়ে। বাংলা আশ্বিন মাসেই আখচাষ শুরু হয়। প্রথমে জমির মাটি ১ ফুট গর্ত করে পাশে ৩ ফুট রেখে বিভিন্ন সার মিশিয়ে চারা রোপণ করা হয়।
আখচাষি প্রিয় কুমার চাকমা জানান, এ মৌসুমে আখের ফলন ভালো হয়েছে। ২ একর জমিতে আখ চাষে খরচ পড়েছে ২০ হাজার টাকা। কিন্তু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার আখ।
সরকারি সহযোগিতা পেলে আখ চাষে কৃষক আরো উৎসাহিত হবে বলে তিনি মনে করেন।
চাষি প্রীতিরঞ্জন চাকমা জানান, কৃষিখাতের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক হলো আখচাষ। আমি গত ১২ বছর ধরে আখ চাষ করছি। আখ চাষে খরচ কম, কিন্তু লাভ অনেক বেশি। দিনে দিনে আখের চাহিদা বাড়ছে। কৃষি অফিস থেকে সঠিকভাবে সহযোগিতা পেলে ফলন আরো ভালো হতো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সফর উদ্দিন বলেন, পাহাড়ি জমির গুণগত মান অনেক ভালো। সময়মত আখের চারা রোপণ করতে পারলে ফলন ভালো হয়। কৃষক ধান ও অন্যান্য ফসলের চাষ কমিয়ে আখ চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। আখ চাষ করে এ জেলার কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
জয়নিউজ/আরসি