সীতাকুণ্ডে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হাজারো বৃক্ষনিধনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া রাতের আঁধারে বৃক্ষনিধন বন্ধের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর উপর ভর করে জিপিএইচ ইস্পাত কোম্পানি আমাদের জায়গার এক হাজারের অধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ জোরপূর্বক কেটে ফেলেছে।
তিনি আরো বলেন, তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরীর সহযোগিতায় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও ১০০/১৫০ পুলিশের উপস্থিতিতে গাছ কেটে এলাকাটি বিরানভূমিতে পরিণত করেছে। পিজিসিবি’র বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলার পর হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিলেও তারা তা মানছে না। জিপিএইচ পিজিসিবি’র উপর ভর করে এখনো গাছ কাটা অব্যাহত রেখেছে। এভাবে গাছ কাটা অব্যাহত থাকলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মো. আবদুল হালিম, মো. মুবিন, কামাল উদ্দিন।
তবে জিপিএইচ ইস্পাতের মালিক আলমাস শিমুল বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ৯৩ ভাগ গাছের মালিককে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়েছে। দুইভাগ ক্ষতিপুরণ নেয়নি, তাদের পরিবারের সদস্যরা মিলে চাকরি করেন। আর পাঁচভাগ ক্ষতিপুরণ নেয়নি, তারা উচ্চ আদালতে মামলা করেছে।
তিনি আরো বলেন, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লাইনটি নিয়েছে। ক্ষতিপুরণ তারাই দেবে। আমরা যে ক্ষতিপুরণ দিয়েছি তা মানবিক কারণে দিয়েছি মাত্র।
এদিকে সীতাকুণ্ডে মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বলেন, গাছ কাটার সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানে না।