সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার জাজিরা প্রান্তে বসছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সপ্তম স্প্যান। এ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে নদীর দু’প্রান্তে দৃশ্যমান হবে সেতুর ১২শ’ মিটার। ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের মধ্যে বসবে এ স্প্যান।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নদীর মাওয়া প্রান্ত থেকে এ দুটি পিলারের দিকে রওনা হয়েছে স্প্যানবাহী ক্রেনটি।
সূত্রমতে, সকাল ৭টায় মাওয়া ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি নির্ধারিত ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়। প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের এ পিলারের কাছে নিয়ে যেতে পুরো একদিন সময় লাগে।
জানা গেছে, স্প্যানবাহী ৩৬শ’ মেট্রিক টন ওজন বহনে সক্ষম ক্রেনটি মাওয়া থেকে শুরুতে সর্বোচ্চ গতিবেগে নিয়ে যাওয়া হবে চাঁদপুরের দিকে ভাটিতে। এখন নদীতে স্রোত কম থাকায় বর্ষা মৌসুমে তীব্র স্রোতের বিপরীতে ক্রেনটি কতটা কাজ করতে সক্ষম হবে, সেটি পরীক্ষা করতেই এটিকে ভাটির দিকে ৭ কিলোমিটার পথ ঘুরিয়ে নির্ধারিত পিলারের কাছে নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, মাওয়া থেকে স্প্যানটি ৩ হাজার ৬০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ক্রেনে তুলে জাজিরা প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বুধবার সকালে পিলারের উপর এটি তোলা হবে।
নদীর জাজিরা প্রান্তে আগের ৩৬ নম্বর পিলার থেকে এগিয়ে মাওয়া প্রান্তের দিকে ৩৫ নম্বর পিলারের মধ্যে যোগ হবে নতুন স্প্যানটি। এছাড়া ৩৪ নম্বর পিলারও শতভাগ প্রস্তুত করে তোলায় কিছুদিনের মধ্যে আরও একটি স্প্যান বসানো সম্ভব হবে।
শুকনো মৌসুমে প্রমত্তা পদ্মায় তীব্র স্রোতের দাপট না থাকায় অনুকূল পরিবেশে দ্রুত এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ। এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে বসছে সপ্তম স্প্যান।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতু দৃশ্যমান করার কাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালের জুন মাসে ৫ম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ৬ পিলারের একটি মডিউলের কাজ। তার পাশেই নতুন মডিউলের প্রথম আর জাজিরা প্রান্তে ৬ষ্ঠ স্প্যানটি বসানো হয় জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ। এবার অপেক্ষা সপ্তম স্প্যান বসানোর।