মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটা। সারাদিন সিটি করপোরেশনের কাজ শেষ করে ক্লান্ত শরীরে নিজের গাড়িতে চড়ে বসলেন নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন। গাড়িতে উঠতেই মেয়রকে ঘিরে ধরলেন ৬০-৭০ জন নারী-পুরুষ। তারা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এসেছেন মেয়রের কাছে। কিন্তু মেয়রের ব্যস্ত সূচির কারণে সারাদিন দেখা করতে পারেননি। তাই যাওয়ার সময় মেয়রকে সমস্যার কথা খুলে বলতে চান। তবে অনেকের মনেই ভয়-সংকোচ, মেয়র কি আদৌ তাদের সঙ্গে কথা বলবেন?
তবে তাদের সে শঙ্কার কালো মেঘ দূর করে মেয়র গাড়ি দাঁড় করালেন। প্রত্যেকের সমস্যার কথা হাসিমুখে শুনলেন। প্রত্যেককেই স্ব-স্ব সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করলেন। এত দ্রুত সমস্যার সমাধান পেয়ে সবাই খুশি।
এসময় নগরপিতার আন্তরিক ব্যবহারে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সমস্যার সমাধান পাওয়া ব্যক্তিরা। নিজের ব্যস্ত সময়ে চলার পথেও যে মেয়র তাদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বলেছেন এবং সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করলেন, এতে তারা খুবই খুশি।
তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান পাওয়া এক নারী জয়নিউজকে বলেন, মেয়ের স্কুলে ভর্তি নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। সেটি মেয়র মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করে দিয়েছেন। মেয়রের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছি।
এভাবেই, যেখানেই যাকে পাচ্ছেন, সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন। এমনকি চলার পথেও হাসিমুখে নগরবাসীর কথা শুনছেন এবং সাধ্যমত যার জন্য যা পারেন করার চেষ্টা করছেন। নগরবাসীও চায়, মেয়রের এ আন্তরিকতা যেন সবসময়ই বজায় থাকে।